ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে বিল্লাল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির যৌনাঙ্গে আঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী রহিমা বেগম। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ছোট তারাকান্দি গ্রামে।
শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
নিহতের মেয়ে আমেনা খাতুন জানান, আমার বাবা বিল্লাল হোসেনের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম ও ছেলে আলাল মিয়ার সাথে শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম বিল্লাল হোসেনের যৌনাঙ্গে আঘাত করে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে আলাল মিয়ার স্ত্রী লিপা আক্তারও এলোপাথারি মারধর করতে থাকে।
এ অবস্থার এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন মাটিতে পড়ে যায়। পরে ছেলে আলাল মিয়াই তার পিতাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান। পরে লাশ হাসপাতালে রেখেই ছেলে আলাল মিয়া পালিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে তার সৎ মা রহিমা বেগমের সাথে পিতা বিল্লাল হোসেনের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। রহিমা বেগম, আলাল ও তার স্ত্রী লিপা আক্তার মিলে মারধর করে তার পিতাকে হত্যা করেছে।
নিহতের ছেলে দুলাল মিয়া জানান, তার সৎ মা রহিমা বেগম তার পিতার যৌনাঙ্গে আঘাত করাতেই তিনি মারা যান।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন জানান, হত্যার খবর শুনে সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।